Delivered within 23/11/2024 - 25/11/2024
কেন তাফসির ইবনে কাসির প্রতিটা মুসলিম পরিবারে থাকা উচিত?
এমন কী আছে এই তাফসীরের মধ্যে ?
নিশ্চয়ই এর মধ্যে এমন কিছু আছে যা এটিকে অন্যান্য তাফসীর গ্রন্থ থেকে আলাদা করেছে
এটি এমন একটি গ্রন্থ যেখানে প্রবিত্র কুরআনে বর্ণিত প্রতিটা আয়াতের বিস্তারিত ব্যাখ্যা আয়াত নাজিলের পটভুমি, প্রেক্ষাপট এবং রসুল (সা) এর সাথে ঘটনা এখানে সহজ ও সাবলিল ভাবে বর্ণিত।
আমাদের দেশে অনেকগুলি ইবনে কাসিরের তাফসিরের অনুবাদ পাওয়া যায় যেমন ধরেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের টা ১১ খন্ডে বিভক্ত এই কিতাবটা পুরোটাই সাধু ভাষায়, এই ভাষার সাথে সাধারন পাঠক অনেকটুকু কম পরিচিত বলা চলে।
আবার তাফসির পাবলিকেশন কমিটির এইটার আরবী লিখা গুলি ছোট, আর একটু পেচানো+ পেপারগুলি খুব পাতলা, বর্ণনা গুলিও সুন্দর কিন্তু ভাষাটা একটু মনে হল কঠিন।
আমরা যারা সাধারন শিক্ষিত সমাজ আমাদের জন্য সব চাইতে সহজ মনে হল মুহাম্মাদ লুতফুর রহমানের সম্পাদনা ও অনুবাদটা এইটার কিছু স্পেশাল বৈশিষ্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরছি
এই তাফসির ইবনে কাসিরটি কিভাবে সাজানো হয়েছে চলুন দেখি আসি। প্রথমে এসেছে সুরার পরিচয়, মাক্কী মাদানী আলোচনা, এই সুরার ফজিলত, আর একই বিষয়ে অন্যান্য ইমামদের অভিমত, আয়াতের পাশাপাশি অর্থ এবং কুরআন ও হাদিস ভিত্তিক এত বেশি জ্ঞান সমৃদ্ধ ব্যাখ্যা যা অন্য কেউ তুলে ধরতে পারেনাই।
আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজিদে কি বলেছেন আমাদের সুরা ভিত্তিক খুজতে হয়, কিন্তু এই তাফসিরে আয়াত ভিত্তিক সুচি থাকার কারনে আল্লাহ তায়ালা কোন আয়াতে কি বলেছেন এই আয়াতটা আপানার কেন জরুরী তা আপনি সুচিপত্র ধরে খুব কম সময়ে জানতে পারবেন।
কোরআনে প্রায় ৮২বার আল্লাহ নামাজ আদায় করার কথা বলেছেন, কিভাবে নামাজে দারাবেন ? কিভাবে নামাজে আপনার রবকে খুঁজে পাবেন তা এই তাফসিরে যেভাবে আপনাকে আপনার রবের কাছে নিয়ে যাবে তা এক কথায় ভাষায় বর্ণনা করা সম্বব নয়।
ধরেনিই আপনি আপনার রবের কাছে তওবা করতে চাচ্ছেন আল্লাহ এবং আল্লাহর রসুল কিভাবে তাওবা করতে বলেছেন জানতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে বিষয় ভিত্তিক সুচি থেকে মুহুরতেই আপনি জেনে নিতে পারছেন।
ইবলিশ আমাদের প্রতিনিয়ত ধোকায় ফেলার চেষ্টা করে এই বিষয়ে আল্লাহ কি বলেছেন আপনি খুব সহজে যেনে যাচ্ছেন।
আপনার জানতে ইচ্ছে হতে পারে হারাম বিষয় গুলি থেকে বেচে কিভাবে থাকবেন এই বিষয় গুলি নিয়ে কুরআন হাদিসের আলোকে আপনি খুব সহজেই ব্যাখ্যা জানতে পারবেন।
জাহান্নামীদের ব্যপারে আল্লাহ তায়ালা কি বলেছেন তাতো আপনার অবশ্যই জানতে ইচ্ছে করে আর এইগুলিও গুলি যখন আপনি সহী রেফারেন্স সহ বুঝবেন দ্বীনের পথে অবশ্যই আপনার মন চলে আসবে।
কুরআনে জান্নাতের আলোচনা এসেছে ২৭৪ বার, এই তাফসিরে ব্যপারগুলি প্রত্যেকটা শব্দকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে আপনার মনের গহীনে জান্নাতের শুগ্রান পৌছে দিবে।
আল্লাহ পাক সম্পর্কে বেশি বেশি না পড়লে এবং তাঁকে নিয়ে বেশি বেশি গভীর চিন্তা না করলে কখনোই ঈমান বাড়বে না।
যতই নামাজ পড়েন , রোজা রাখেন রবকে নিয়ে যতোক্ষন না আপনি আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়াচ্ছেন ততক্ষন আপনি কোন ইবাদাতেই মজা পাবেন না, তাঁকে নিয়ে গভীরভাবে না ভাবলে ঈমান কমতে থাকবে।
আপনি দ্বীনের পথে আসতে চাচ্ছেন আপনাকে আল্লাহর পথে অবিচল রাখবে এই তাফসির গ্রন্থ।
ক। আপনার পরিবার বা সন্তানকে সঠিক সুপরামর্শ দিতে পারবেন
খ। এছাড়া বিশেষ বৈঠকে অধ্যায়ভিত্তিক আলোচনা করতে পারবেন এই তাফসিরের মাধ্যমে
বড় বড় হরফ হবার কারনে যেকোন বয়সের মানুষ এই তাফসির পড়ে আলাদা আনন্দ পাবেন, বোর্ড বাইন্ডিং এবং মজবুত বাঁধাই করা অফসেট কাগজের হার্ডকভার বাইন্ডিংএর এই কিতাবটি সংগ্রহ করে ঈমান আমল মজবুতঁ করতে পারেন।
আপনার ন্যাক আমলের সংগী হতে পারলে আমাদের প্রচেষ্টা সফল হবে, ইনশাআআল্লাহ।
Title
Tafsir ibne Kasir
Publisher
Mina Book House
Language
Bangla, Arabic
Number Of Pages
1464
Dimension in inchs
9.5*7.5
SKU
MB058
ইবনে কাছীর (১৩০১–১৩৭৩) ছিলেন একজন মুহাদ্দিস, ফকিহ, মুফাসসির ও ইতিহাসবিদ। তার পুরো নাম ইসমাঈল ইবন উমর ইবন কাসীর ইবন দূ ইবন কাসীর ইবন দিরা আল-কুরায়শী। ইবনে কাসির (রহ.) ৭০০ হিজরি মতান্তরে ৭০২ হিজরি সনে সিরিয়ার বসরান মাজদল নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তবে ‘আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ গ্রন্থে তাঁর জন্মস্থান সিরিয়ার ‘মুজায়দিল’ নামক স্থানে উল্লেখ রয়েছে (এটি দুর্বল মত)। আল্লামা যাহাবী -এর পর তিনি উন্মুসসা’ওয়াত তানাকুরিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। তিনি ‘নুজায়বিয়ায়’ শিক্ষকতা করেন এবং ৭৪৮ হিজরী সনে ফাওকানী বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেন। ইবনে কাসির শত শত শায়েখ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন । এর মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য শায়েখগন হলঃ ১। শায়খ তকী উদ্দীন ইবন তাইমিয়া -(ফকিহ বিষয়ক) ২। সিরিয়ার কাসিম ইবন মুহাম্মদ বিরযালী -(ইতিহাস বিষয়ক) ৩। শায়খ মিযয়ী ইউসুফ ইব্ন আবদুর রহমান জামালুদ্দীন -(হাদিস বিষয়ক) [নোটঃ এই শায়েখের মেয়ে জায়নবকে তিনি বিয়ে করেন] ৪। উস্তাদ হাযরী -(গণিত বিষয়ক) ৫। জনাব ইজুদ্দীন আবু ইয়া’লা ৬। ইবনুল কালানসী ৭। ইবরাহীম ইবন আবদুর রহমান গাযারী ৮। নাজমুদ্দীন মূসা ইবন আলী ইব্ন মুহাম্মদ ইবনে কাসির ৭৭৪ হিজরী সনের ২৬ শাবান বৃহস্পতিবার তার ইনতিকাল হয়। তার জানাযায় বহুসংখ্যক লোকের সমাগম ঘটে। তার ওসীয়ত অনুসারে তার সর্বশেষ আবাসস্থল শায়খুল ইসলাম তকী উদ্দীন ইব্ন তাইমিয়্যা (র)-এর কাছে তাকে দাফন করা হয়। যা দামেশকের বাব আন-নাসর-এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত।